যানজট এর সমস‍্যায় নাকাল পৌরবাসী : গতিশীল শহর চান নাগরিকরা

4th November 2020 9:26 am বাঁকুড়া
যানজট এর সমস‍্যায় নাকাল পৌরবাসী : গতিশীল শহর চান নাগরিকরা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  যানজট -  নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঁকুড়ার অন্যতম প্রাচীণ পৌর শহর সোনামুখীতে। যানজটের কারণে এখানকার চৌমাথা মোড়ে অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সাধারণ মানুষকে। অপরিসর রাস্তা আর যানবাহনের ভীড় সবমিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা এখানকার মানুষকে। তার উপর আর কয়েক দিন পরেই কালীপুজো। 'কালী কার্তিকের দেশ' হিসেবে পরিচিত সোনামুখী শহরে এই সময়টাতে ভীড় আরো বেড়ে যায়। ফলে দিনের অধিকাংশ সময় শহরে যানযট লেগেই থাকে। যার ভোগান্তি পোয়াতে হয় ছাত্র -ছাত্রী, অফিস যাত্রী থেকে সাধারণ শহরবাসীকে।

শহরবাসী বিশ্বজিৎ চন্দ্র, বাইক আরোহী মাধব ঘোষ, ঋজু মুখার্জী, অফিস যাত্রী ব্রজ ইন্দু অধিকারী থেকে গৃহবধূ তাপসী মুখার্জী প্রত্যেকেই নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, প্রতিদিন চরম সমস্যায় পড়ছি। এখানে যানজটের কারণে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতেই পারছি না। শহরের ভীতরের রাস্তা চওড়া অথবা বিকল্প বাইপাস তৈরী না হওয়া পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হবেনা বলে তারা জানান। সেকারণে দ্রুত বাইপাস তৈরীর দাবি তারা জানিয়েছেন।

সোনামুখী পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক সুরজিৎ মুখার্জী সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, অনেক পুরাণো এই শহর। সম্পূর্ণ 'অপরিকল্পিতভাবে' এই শহর তৈরী হয়েছে। বাইপাস তৈরী ছাড়া এই যানযট সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। রাজ্যের অনুমতি মিলেছে। বনদপ্তরের জমির উপর দিয়ে প্রস্তাবিত বাইপাস তৈরী হবে। কিন্তু বনদপ্তরের অসহযোগীতার কারণে বাইপাসের কাজ আটকে আছে। ঐ সমস্যা মিটলেই বাইপাস তৈরী সম্ভব বলে তিনি জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।